বঙ্গোপসাগরে দফায়-দফায় লঘুচাপ: চরম উদ্বিগ্ন জেলেরা

আল-আমিন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৪৯

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগরে কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারো তৈরী হয়েছে একটি লঘুচাপ।বর্তমানে এটি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর, ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনিভূত হতে পারে। এর প্রভাবে কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে(০৩) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এর প্রভাবে কলাপাড়ায় মাঝারী থেকে হালকা থেমে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের চাপ অনেকটা বেড়েছে। পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত অব‌্যাহত রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসের চাপ আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে জনশূন্য রয়েছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা।

এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় শত শত ট্রলারকে মহিপুর আলীপুর মৎস্য বন্দরে নোঙ্গর করতে দেখা গেছে।

মৎস্য বন্দর আড়ৎ সমিতির সভাপতি মোঃআনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে মসৎখ্যাত হুমকির মুখে, বছরে ৩৬৫ দিনের কিছু সময় মৎস্য শিকারের জন্য উপযোগী হলেও বাকি সময় বেশ সংকটের। বৈরী আবহাওয়া, ঘন কুয়াশা, ধাপে ধাপে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন সময় জেলেদের মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকতে হয়।

৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ আহরনের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল, তার রেশ কাটতে না কাটতেই বৈরী আবহাওয়া ৪/৫ দিন পর পর সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে তেলের দাম দ্বিগুন। এদিকে ৭ই অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর ২২দিন ইলিশ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা।সমুদ্রে ইলিশ আহরণের উপযোগী সময়ে ইলিশ ধরতে না পাড়ায় জেলেরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিগত দুই বছরেও সাগরে তেমন ইলিশ দেখা মেলেনি।

সবমিলিয়ে চরম হতাশায় জেলেরা।

ট্রলার মালিকরা জানান, মাছ আহরণে এখনি উপযুক্ত সময় এই সময়টায় মাছ ধরতে না পারলে আমরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবো।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: