চুয়াডাঙ্গায় নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৩০

সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় হয়ে গেলো গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। সোমবার বিকালে দর্শনার পারকৃষ্ণপুর গ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬২ সাল থেকে একই স্থানে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নৌকাবাইচ উপভোগ করতে মাথাভাঙ্গা নদীর দু’পাড় এবং মেমনগর ব্রীজের উপর উপচেপড়া মানুষ ভীড় করে। বছরে একবার এলাকার মানুষের মহামিলনমেলা চোখে পড়ে। পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে এ প্রতিযোগিতায় এ বছর ৭টি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ভবেশ হালদারের দল বিজয়ী হয়।

আয়োজকরা জানান, পারকৃষ্ণপুর গ্রামের ভিমখালী ঘাট থেকে মেমনগর ব্রীজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার দূরত্বে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা। তবে বেলা তিনটার পর থেকে নদীতীরে জমতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা।
দর্শনার্থীরা জানান, সুস্থ বিনোদনের অভাববোধের কারণেই নৌকাবাইচ দেখতে নদীতীরে মানুষের ঢল নামে। গ্রাম্য খেলার প্রচলণ কমে আসায় হতাশাগ্রস্ত মানুষেরা নৌকাবাইচ দেখতে আসে। তাছাড়া সীমান্তবর্তী এসব এলাকায় খেলাধূলায় প্রাণসঞ্চার হয় সামাজিক জীবনে।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মি হানিফ মন্ডল বলেন, দর্শনাসহ আশপাশ কয়েক গ্রামের মানুষ বছরের এ সময়ের অপেক্ষায় থাকে। কারণ গ্রাম-বাংলার ঐহিত্যবাহী খেলার আয়োজন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসী নিয়মিতভাবে নৌকাবাইচের আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক জিয়াউল হক জানান, যুবসমাজকে খেলার দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিবছর নৌকাবাইচ আয়োজন করা হয়। প্রতিবারই নৌকাবাইচ দেখতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী তীরে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌকাবাইচ যে জনপ্রিয় খেলা, তার প্রমাণ মানুষের ঢল। সুষ্ঠু বিনোদনের জন্যই প্রতিবছর নৌকাবাইচের আয়োজন করে পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসী।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়। পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাজী আলী আজগার টগর এমপি। হাজী আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণ পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ^াস, কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর এডিএম (প্রশাসন) শেখ শাহাবউদ্দীন, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবীর ও মদনা-পারকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান এএসএম জাকারিয়া আলম।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: