হত্যার ঘটনায় মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ, পোল্ট্রি ফার্ম ও গরুর খামারে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা | ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৮

সংগৃহীত

পাবনার সুজানগরে ছাগলে ক্ষেত খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিতে একজন নিহতের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধরা প্রতিপক্ষের মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ, পোল্ট্রি ফার্মে ও গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রোববার বিকেলে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে পূর্ববিরোধ ও ছাগলে ক্ষেতের ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে আক্কাস আলী বিশ্বাস গোষ্ঠির সাথে মোকাই শেখ গোষ্ঠির মধ্যে ঘটনার রাতে বিরোধ দেখা দেয়। বিষয়টি উভয়গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় গুলিতে মোয়াজ্জেম হোসেন শেখের ছেলে এরশাদ শেখ (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এ ঘটনায়য় সোমবার দুপুরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় একটি লাইসেন্সকৃত দোনালা বন্দুক ও ৪৯টি কার্তুজ জব্দ করে পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজম আলী বিশ্বাসের পরিবারের এক সদস্য অভিযোগ করেন, শেখ গোষ্ঠীর লোকজন ঘটনার রাতেই আজম বিশ্বাসের পোল্ট্রি মুরগীর ফার্মে ও গরুর খামারে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পাঁচ হাজার মুরগীসহ ও একটি গরু পুড়ে যায়। পরেরদিন সোমবার তারা আজম বিশ্বাসের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৫০ মন মাছ বিনষ্ট করে। মঙ্গলবার সকালে মরা মাছ ভেসে উঠলে জানাজানি হয়। অনেকে ওই মাছ ধরে নিয়ে যায়।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হানান্ন বলেন, ঘটনার দিন পোল্ট্রি ফার্ম ও গরুর খামারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। পরেরদিন পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষ প্রতিরোধক ওষুধ প্রয়োগ করে মাছ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, গুলিতে এরশাদ শেখ নিহতের ঘটনায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় নিহত এরশাদ শেখের নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: