ফরিদপুরে ১১ বছর পর হত্যা মামলার রায় ১৫ সেপ্টেম্বর

ফরিদপুর প্রতিনিধি | ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:১১

সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়েছে। টানা ১১ বছর পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্তের এই রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ী মজিবর রহমান মিয়া উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের মৃত ফকরদ্দীন মিয়ার ছেলে এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ ও ঢাকা টাইমসের সালথা-নগরকান্দা প্রতিনিধি নুরুল ইসলামের বাবা।

ফরিদপুর জর্জকোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন জানান, আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করেছি। যদিও আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের খালাস চেয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। মামলার ২২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীরা মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন বিধায় আশা করি আলোচিত এই মামলায় আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন বকুল মিয়া জানান, সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলার সাতজন আসামির মধ্যে প্রধান আসামি হিমেল খান পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হয়।

মামলার বাদী সাংবাদিক নুরুল ইসলাম  জানান, আমার বাবার খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। অপরাধীরা যেন কেউ খালাস না পায়। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক যেন আর কেউ আমার বাবার মত হত্যার শিকার না হন।

উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে মামলার প্রধান আসামি হিমেল খান খুনের শিকার ব্যবসায়ী মজিবর মিয়ার ছেলে রেজাউল মিয়ার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মজিবর মিয়া হিমেলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর গভীর রাতে আসামিরা মোটরসাইকেল ফেরত দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় হিমেল খান, আলমগীর খান, জুয়েল খান, সোহেল খান, সাকিল খান, আজগর খান ও ইলিয়াস মোল্যাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মজিবর মিয়ার ছেলে সাংবাদিক নুরুল ইসলাম।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: