নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ

চুয়াডাঙ্গায় পূর্বঘোষণা ছাড়াই পানির বিল বৃদ্ধি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ২০ আগষ্ট ২০২২, ০৩:৫৪

সংগৃহীত

কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পানির বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন দর গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। পানির বিলে ৪১ শতাংশ এবং সেবামূল্য ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে পৌর এলাকার নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের দাবী বিদ্যুৎসহ উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সংগতিপূর্ণ হারে পানির বিল পূননির্ধারণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার বর্তমানে ৭৫ শতাংশ এলাকা ও ৮০ শতাংশ নাগরিক সরবরাহ করা পানির সেবার আওতায় আছে। এসব এলাকায় গ্রাহকসংখ্যা আবাসিক ৭ হাজার ১২১, বাণিজ্যিক ২২৪ এবং স্ট্রিট হাইড্র্যান্ট ৮টি। ৩টি ওভারহেড ট্যাংক ও ১৩টি নলকূপের মাধ্যমে দৈনিক সকাল, দুপুর ও বিকেল তিন দফায় ৭৮ লাখ ৫৪ হাজার লিটার পানি উত্তোলন করা হয়। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে পানি উত্তোলন ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়।

নতুন বিল অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আবাসিক গ্রাহকের জন্য আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের মাসিক বিল ১৬০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌনে ১ ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের বিল ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা, ১ ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের বিল ৪২৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা, দেড় ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের বিল ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক সংযোগ ফি ৬৭ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ফি শতভাগ বাড়ানো হয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন ফি ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে, যা আগের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাজারপাড়া গৃহিনী আসমাউল হুসনা জানান, পানির বিলে বাড়তি টাকা লেখা দেখে ভেবেছিলাম ভুলে এমন হয়েছে। পড়ে দেখি সাথে একটি লিফলেট আছে। তাতে খাত ভিত্তিক নতুন বিলের তথ্য দেয়া হয়েছে।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশ অব বাংলাদেশ- ক্যাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মানিক আকবর বলেন, সেবামূল্য একবারে এত বাড়ানো ঠিক হয়নি। এটা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে পানির বিল ও সেবামূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা বাতিল করে গণশুনানি করা উচিত।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পানি বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম সাহীদুর রশিদ বলেন, পানি খাতে বর্তমানে প্রতি মাসের খরচ ২৩ লাখ ৬৯ হাজার ৭১১ টাকা। সেখানে জুন পর্যন্ত মাসিক আয় ছিল ১৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ঘাটতি পূরণের জন্যই পানির বিল ও সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: