বিয়ে না করেও একই বাসায় প্রেমিক যুগলের বসবাস, অত:পর...

মোশতাক আহমেদ শাওন | ১৫ আগষ্ট ২০২২, ১১:০২

সংগৃহীত

বিয়ে না করেও দীর্ঘদিন থেকে একই বাসায় বসবাস করত প্রেমিক যুগল। এ সময় তারা উভয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দুই বছর ধরে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে প্রেমিক কালক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে চলতি মাসের ২ তারিখে প্রেমিকার অনুপস্থিতে ঘরে থাকা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক।

অভিযুক্ত ওই প্রেমিকের নাম সুমন চন্দ্র ভুইয়া। সে হিন্দু পরিবারের সন্তান। অন্যদিকে ভুক্তভোগী প্রেমিকা মুসলিম। এ ঘটনায় সে প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ঐ প্রেমিকা। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সুমন চন্দ্র ভুইয়া ব্রাহ্মণবাড়ি জেলার সরাইল থানার মলাইশের বিদ্যাসাগর ভুইয়ার পুত্র।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী মুসলমান সে চাঁদনী হাউজিংয়ে ভাড়ায় বসবাস করে ফতুল্লার বিসিক এক নাম্বার গেইটে গার্মেন্টসে চাকুরি করে আসছে। একই গার্মেন্টসে চাকুরি করতো সুমন চন্দ্র ভুইয়া। সে হিন্দু পরিবারের সন্তান। 

একই গার্মেন্টসে চাকুরি করার সুবাদে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তাদেও মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সুত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত বাদীর সাথে শারিরীক সম্পর্কের পাশাপাশি তারা উভয়েই চাদঁনী হাউজিংয়ে একই বাসায় বসবাস করত। 

এমন কি ভুক্তভোগীর মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকাও অভিযুক্ত নিয়ে যেতো। সাম্প্রতিক সময়ে সুমনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে কালক্ষেপন করতে থাকে। চলতি মাসের ২ তারিখে ভুক্তভোগী বাসায় না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত সুমন চন্দ্র দাস ঘরে থাকা ওই তরুনীর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল (টু) জানায়, মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী তরুনীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: