বান্দরবানে সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা

বান্দরবান প্রতিনিধি | ৩ আগষ্ট ২০২২, ২২:৪৩

সংগৃহীত

বান্দরবানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে প্রতিদিনই গড়ে উঠছে অবৈধ নতুন নতুন স্থাপনা।

বান্দরবান- কেরানীহাট সড়কের লাম্বা রাস্তার নামক স্থানের এক পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জায়গা) দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন কুমিল্লা নিবাসী সেলিম নামের এক ব্যক্তি। বর্তমানের তিনি বান্দরবানের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ভাঙ্গারী ব্যবসা করেন। তিনি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন গড়ে তুলেছেন দোকান। চলমান রয়েছে অবৈধ দালান ঘর। অন্য জেলা থেকে এসে কিভাবে সরকারী জায়গায় দখল করে দালান তুলছেন এমন অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকাবাসীদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা না হয়েও কিভাবে তিনি ব্যবসার নাম করে সরকারী জায়গাতে ঘর ও দোকান স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এলাকাবাসীরা এ ব্যাপারের কথা বলতে গেলে হুমকিও দেন তিনি। এছাড়া সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারী জায়গায় ঘর তুলেছেন। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যন্ত সরকারী জায়গায় ঘর পর্যন্ত তোলার সাহস পাননি। দূর থেকে এসে কিভাবে এই কাজটির করলেন প্রশ্ন এলাকাবাসীদের।

সরেজমিন দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় গড়ে উঠেছে দালান ঘর। বান্দরবান ও কেরানীহাট সড়কের রাস্তা ধারে প্রথমের গড়ে উঠেছিল ছোট্ট একটি দোকান। দোকানের পাশের ছোট্ট ঝিড়ি কিনারা। সেই কিনারা পার্শ্বে মাটি তলদেশ থেকে ইটের মাধ্যমে গড়ে তুলছে একটি বাড়ি। বাড়িটি এখন শেষ পর্যায়ের। আবার সড়কের বাম পাশে তার ভাঙ্গারী দোকান। দোকানে ভিতরের ভাঙ্গারী বিভিন্ন জিনিসপত্র ও দেখা গেছে। একজন ভাঙ্গারী ব্যবসার নামে বাইরে থেকে এসে সরকারী জায়গায় দখল করে ঘর স্থাপন কি অপরাধ নয় এমন প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছে ঐসব এলাকার বসবাসকারীদের।

এদিকে বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৬০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন মানা হচ্ছেনা, তা বোঝা যায়, সড়কের পাশের বান্দরবান সড়ক ও জনপদ কর্মকর্তাকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনা। শুধু সড়কের পাশে নয়, দখল হয়েছে মূল রাস্তার ৩ ফুট পর্যন্ত। এছাড়া ও বান্দরবান-রাঙ্গামাটি চন্দ্রঘোনা সড়কের পৌরসভার সেগুন বাগিচা এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় প্রায় ২০টি ও বেশি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।

লম্বা রাস্তা বাসিন্দা আসরাফ আলী বলেন, সরকারী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ঘর বেধেছে বলে মনে হচ্ছে। তা না হলে সরকারী জায়গায় কিভাবে একটি ঘর কেন দোকান তোলার ও সম্ভব নয়।

সড়কের দোকানের পিছনে পাহাড়ের মালিক শৈনাচিং মারমা জানান, সড়ক ও জনপদের সরকারী জায়গায়তে ঘর না তোলার জন্য বারণ করি। তবুও তিনি ঘর তুলেছেন। তিনি আমাকে জানান সড়ক ও জনপদকে প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে দোকান ও ঘর তুলেছেন।

অবৈধ স্থাপনা তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মো.সেলিম তিনি জানান, সড়ক জনপদের কর্মকর্তাকে ম্যনেজ করে ঘর তোলা হয়েছে। তবে তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া অফার দেন। 

এব্যাপারে বান্দরবান সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সড়কের কাজ শেষ হলে ডিসেম্বর শেষের দিকে সেনাবাহিনী সড়ক ও জনপদকে সড়কটি হস্তান্তর করবে। এবং বিষয়টি আমি সেনাবাহিনীকে জানাবো।

তিনি আরো জানান, উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে সাংবাদিকদের জানানো হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: