কুয়াকাটায় দুঃসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ পর্যটন ব্যবসায়ীরা

আল আমিন, কলাপাড়া (কুয়াকাটা) | ৩১ জুলাই ২০২২, ২১:০৭

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া শতভাগ বিদ্যুতায়িত একটি উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ লোকের বসবাস এবং ৭৬ হাজার বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে।

গত কয়েক মাস যাবৎ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে প্রচন্ড দাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

দিনে ২০-৩০ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় লোডশেডিং বিপাকে পড়েছেন মহিপুর কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চান ব্যবসায়ী,ও সাধারণ মানুষ।

প্রচন্ড দাপদাহে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সর্বস্তরের জনগণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা আর ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটাচ্ছেন অনেকেই।

বিদ্যুৎ সমস্যায় নিয়মিত কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটায় উপজেলার ব্যবসায়ী, কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন।

 চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার খামারী ও ফটোসপসহ কলাপাড়া, মহিপুর,কুয়াকাটার পর্যটকসহ সকল ব্যবসায়ীরা।

পদ্মাসেতু ঘিরে কুয়াকাটায় স্বরনকালের পর্যটকদের আগমনে বিদ্যুৎতের ভোগান্তিতে বিপাকে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে এসএসসি পরীক্ষার কথা থাকলে তা পিছিয়েছে।

সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।রীতিমতো পড়তে না না পাড়ায় চরম ক্ষোভে তারা।

এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও পড়ার টেবিলে বসতে পারছেননা। লোডশেডিংয়ের ফলে ভালো ভাবে পড়ালেখা করতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত কয়েক মাসে ২৪ ঘন্টায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা। এভাবে নিয়মিত দিনে ২৫-৩০বার পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। 

আবার কখনো কখনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া টানা ৮-১০ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কুয়াকাটায় বিদ্যুতের অব্যাহত লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ স্বয়ং ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।

কলাপাড়া উপজেলা বিভিন্ন থানা,ইউনিয়ন,পৌরসভা ওয়ার্ডের অনেকেই বর্তমান ডিজিএম'র বদলী দাবি করে তার অদক্ষতাকেই দায়ী করেছেন। 

এ বিষয়ে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কলাপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সজীব পাল বলেন কলাপাড়া ৩৩ কেভি লাইন ফল্টের কারনে পটুয়াখালী গ্রীড উপকেন্দ্র হতে লাইন বন্ধ আছে। লাইন ট্রায়াল দেওয়া হয়েছিল কিন্তু চালু হয় নাই। ফল্ট খুঁজে বের করার জন্য আমাদের লোকজন বের হয়েছে। সম্মানিত গ্রাহকের সাময়িক অসুবিধার জন্য কলাপাড়া জোনাল অফিস, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

তিনি আরো বলেন কলাপাড়া উপজেলায় ৭৬ হাজার গ্রাহকের জন্য ২২ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এবং ২২মেঘাওয়াট ই কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করেছে।

দীর্ঘ লাইন হওয়ায় ফলেই এতো লোডশেডিং।পর্যটন নগরী কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ী গনেশ দাস বলেন, বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসা ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে ব্যবসা করতে চরম কষ্ট হচ্ছে।

কুয়াকাটা ৭নং ওয়ার্ডের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোঃশামিম বলেন,ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে পড়ার টেবিলে বসতে পারছিনা। 

রবিন নামে একজন হোটেল শ্রমিক বলেন,সারাদিনে কর্মক্ষেত্রে অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে ক্লান্তি নিয়ে যখন ঘুমাতে যাই।তখনও বিদ্যুৎতের ঘন্টা পর ঘন্টা লোডশেডিং।এমতাবস্থায় গরমে সারারাত নিদ্রাহীন থেকে সকালে কর্মক্ষেত্রে যাওয়াটাই দুস্কর হয়ে পড়ে। 

অটোচালক মেজবাহ বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে গাড়ি চার্জ দেয়া যাচ্ছেনা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: