মাগুরায় মামলার পাল্টা জবাবে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ

আলী আশরাফ, মাগুরা প্রতিনিধি | ২৮ জুলাই ২০২২, ০৮:২৩

সংগৃহীত

মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালোকান্দি গ্রামের মকবুল লস্করের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে মোছাঃ পিঙ্কি খাতুন (১৩) কে গত ২৪ জুলাই রবিবার রাত আনুমানিক ১০:৩০ টায় একই গ্রামের রব্বানী, আসাদ ও আলমগীর ধর্ষণ করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে |

কিন্তু সরোজমিনে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও প্রতিশোধমূলক। মূলত গ্রামের সামাজিক দলাদলিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য টাকার বিনিময়ে এধরণের অভিযোগ ও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রামের এক দল ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থিত চন্নু মাতবর ও অন্য পক্ষ গোলাম রব্বানী, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলে আসছে , উভপয়পক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা চলমান রয়েছে। অভিযোগ করা ঘটনার কিছুদিন আগে গত ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে রব্বানী গ্রুপের সাঈদ মোল্লাকে অতর্কিত হামলা করে হাতে ও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় চুন্নু মাতবরের দলীয় লোকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। মূলত সে মামলার পাল্টা জবাব দেয়ার উদ্দেশ্যে এ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পিঙ্কি খাতুনের চাচা, বোন, দাদি ও স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী ওই দিন রাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

এলাকাবাসী থেকে আরো জানা যায়, মামলার বাদী মকবুল লস্কর (ভিকটিমের বাবা) অত্যন্ত বাজে চরিত্র ও বিকৃত মস্তিষ্কের একজন লোক, বিগত কয়েক বছর আগে তার ঔরসজাত কন্যা সন্তানের সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কারণে তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দেয়া হয়েছিল। তিনি টাকার লোভে নিজের মেয়েকে দিয়ে এই ষড়যন্ত্রমূলক ঘৃন্য কর্মকাণ্ড করছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেন যারা এই ধরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, যাতে করে পরবর্তীতে এরকম ঘৃণ কর্মকান্ড করার সাহস কেউ না করে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গতকাল আমরা মামলাটি গ্রহণ করেছি এবং ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায়, তার জবানবন্দী গ্রহণ ও আসামী গ্রেফতার অভিযান সহ অন্যান্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: