৭১ টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী :  | ২৭ জুলাই ২০২২, ০১:৪৩

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মরহুম ইয়ার খলীফার দরগা শরীফ মাজারের দূর্ণীতি ও অনিয়ম নিয়ে একাত্তর টিভিতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করায় এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বাদল হোসেন ওরফে বাক্স বাদল একাত্তর টিভির বরগুনা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন টিটুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়রানী মূলক করায় এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন পটুয়াখালীর সাংবাদিকরা

আজ তারা স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে মামলাকারী কথিত সাংবাদিক বাদল হোসেন ওরফে বাক্স বাদলের চাঁদাবাজী, হামলা, মামলা, মাজারের লুটপাটসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের মুখোশ তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক ইমরান টিটুর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সংগঠনের সামনে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী সামসুর রহমান ইকবালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্সের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার রক্ষিত, সদস্য সচিব জালাল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও একাত্তার টেলিভিশনের পটুয়াখালী প্রতিনিধি আহসানুল কবির রিপন।

সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন মির্জাগঞ্জের মরহুম ইয়ার উদ্দীন খলীফার মাজারে সাধারন সম্পাদক সহিদ মল্লিকসহ কমিটির কয়েজন সদস্য দীর্ঘদিন দূর্নীতি ও অীনয়মের মাধ্যমে মাজারের অর্থ কুক্ষিগত করে আসছিলো। দূর্নীতির বিষয়ে একাত্তর টিভির বরগুনা প্রতিনিধি সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের আগে তাকে আর্থিক ভাবে ম্যানেজের অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়া ও সেই ভিডিও চিত্রসহ সংবাদ ১ মার্চ প্রচার হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাজার কমিটির সাধারন সম্পাদের ভাগিনা বাদল হোসেন ওরফে বাক্স বাদল গত ৫ এপ্রিল বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হলেও ২১ জুলাই জানাজানি হলে বরগুনা ও পটুয়াখালীর সাংবাদিকরা এই হয়রানী মূলক মামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হন। 

মানববন্ধনে সমাবেত বক্তারা মামলার বাদী বাদলের বিভিন্ন অপকৃতি তুলে ধরে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসব কর্মসূচীতে জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকরাও অংশ নেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: