এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সুফল পাচ্ছে নগরবাসি: দাবি তাপসের

সময় ট্রিবিউন | ২১ জুলাই ২০২২, ০৫:০৫

সংগৃহীত

গতবারের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা অর্ধেকের চাইতে কম বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, গত বছরের এসময় যে (যত) সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গিয়েছিল, এবার তার অর্ধেকেরও নিচে। সুতরাং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যে কার্যক্রম নিয়েছি, এর সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজার আড়ৎ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতি. সচিব) ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) কাজী মো. বোরহান উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে সরেজমিনে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস। তিনি বলেন, এডিস মশার প্রজনন এবং বিস্তারের এটা ভরা মৌসুম। এজন্য অগ্রিম আমরা নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছি এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আমরা সরাসরি এটাকে তদারকি করছি। যে জায়গায় আমরা তথ্য (এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কে) পাচ্ছি, (ডেঙ্গু) রোগীর ঠিকানা পাচ্ছি, সেই সব জায়গায় গিয়ে প্রথমে উৎসস্থলগুলো ধ্বংস করছি। সেখানে সকালে লার্ভিসাইডিং করছি এবং বিকেলে পুরো ৩০০ গজ এলাকা নিয়ে আমরা ফগিং করে দিচ্ছি, যাতে করে আমরা এডিস মশার বিস্তারকে প্রতিরোধ করতে পারি। 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা শাক-সবজি ও মাছসহ অন্যান্য পণ্য নগরবাসীর নিকট সাশ্রয়ী মূ্ল্যে পৌঁছে দিতে ঢাকার চারপাশে সুবিধাজনক স্থানে পাইকারি কাঁচাবাজার চালু করা হবে।

তিনি বলেন, উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় এনে যথাযথভাবে যাতে উৎপাদকরা বিক্রি করে লাভবান হন এবং নগরে বসবাসকারীরাও যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়াই আমাদের লক্ষ্য। পাইকারি কাঁচাবাজরগুলোকে আমরা এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যাতে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ি ঢাকার প্রবেশমুখে রেখে পণ্য খালাস করা যায়। এসব বিষয় পর্যালোচনার জন্য ঢাকা সিটির মেয়রসহ সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কোথায় কোথায় এরকম পাইকারি বিক্রির ব্যবস্থা করা যায় সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত বিশাল অঞ্চল ঢাকার সাথে যুক্ত হওয়ায় সেখানে এখন শাক-সবজি, মাছসহ অনেক পণ্য সহজে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হবে। যার ফলে কৃষকরা প্রকৃতি মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকরাও হাতের কাছে পণ্য পাবে।

এ সময় কাজী মনিরুল ইসলাম এমপি বলেন, ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় মশক নিধনের কার্যক্রম চলমান আছে। যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানাধীন পাড়া-মহল্লায় বছরব্যাপী মশা নিধন কর্মপরিকল্পনা অব্যহত রয়েছে। এ কারণে আমরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশে এই এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিমলরগণ বছর ব্যাপী কার্যক্রম নেওয়াতেই এটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান কাজী মনিরুল ইসলাম এমপি। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামীতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে।

এরআগে দুপুরে মেয়র তাপস শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট সংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শন, বকশীবাজার জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নিউমার্কেট-গাউছিয়া ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: