মোংলায় নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আলী আজীম, মোংলা, বাগেরহাট | ১৭ জুলাই ২০২২, ২৩:২১

সংগৃহীত

মোংলার জয়মনি এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে অসহায় এক দিন মজুরকে মাদক দিয়ে ফাসাতে গিয়ে ও মাদক উদ্ধারের নামে বসত ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে মারধর, অশালীন আচরণ ও গায়ের পোশাক টেনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চাদপাঁই নৌ-পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে মোংলা নৌ-পুলিশ।

শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনির ঘোল বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে সন্ত্রাসী বাবু খাঁন সহ কয়েকজন নৌ-পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ তানিয়া বেগম।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তানিয়া বেগম জানায়, জয়মনি এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেক খানের ছেলে মিরাজুল খাঁন বাবু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ক্ষমতার দাপটে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে গরিব ও অসহায় লোকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করছে সে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলাসহ মোটা অংকের টাকা পাওনার নামে নিরীহ মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো জানান, ৫ জুলাই ছেলে তামিমের মোটরসাইকেল আটকে রাখছে বাবু। চেয়ারম্যান সহ অনেকের কাছে গিয়েছি কিন্তু কেউ বাবুর কাছে যেতে সাহস পাচ্ছেনা। শনিবার সকালে বাবু খাঁন আমাদের বাড়ী পাশে দাড়িয়ে থাকে এবং ওসি ও ১০/১৫ নৌপুলিশ সদস্য আমাদের বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করতে থাকে। এ সময় আমি ও আমার শ্বশুর-শাশুড়ি মালামাল ভাংচুর করতে বাধা দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। পরে ডাক চিৎকার দিলে আমার পরনের পোশাক টেনে শ্লিলতাহানী ঘটানোর চেষ্টা করে নৌপুলিশের সদস্যরা।

এব্যাপারে বাবু খাঁন জানায়, আমি টাকা পাবো তাই গাড়ী আটকে রেখেছি যা চেয়ারম্যান জানে তবে অন্য সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে জানায় তিনি।

চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন জানান, তামিমের কাছে বাবু টাকা পাবে বলে আমাকে জানিয়েছে, তবে মোটরসাইকেলের ব্যাপারে আমার জানা নাই।

জয়মনি বটতলা এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাবু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন ও নতুন যোগদান করা নৌপুলিশের ওসি’র ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ খান সহ প্রায় ৮/১০ জনের কাছ থেকে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে মারধর ও গাড়ী আটকিয়ে জোর পূর্বক টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী বাবু খাঁন’র ভয়ে অনেকেই বাড়ী থেকে বের হতে পারছেনা।

চাদপাঁই নৌপুলিশের ওসি মো. জাহাঙ্গির হোসেন খাঁন জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানে যাওয়া হয় কিন্তু কোন ইয়াবা বা অন্য কোন মাদক পাওয়া যায়নি। আমাদের অভিযানে খবর পেয়ে তারা মাদকগুলো লুকিয়ে ফেলার কারণেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তানিয়া বেগম নামের গৃহবধূকে গালমন্দ বা মারধর করার ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানান তিনি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: