বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন

বান্দরবান প্রতিনিধি | ১২ জুলাই ২০২২, ১৯:৫৩

সংগৃহীত

বৌদ্ধদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন আষাঢ়ী পূর্ণিমা। আজকের মহা এই পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বৌদ্ধদের তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস পালন।

আষাঢ়ী পূর্ণিমার মধ্য দিয়ে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অধিকতরভাবে শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার অনুশীলন করেন এবং বৌদ্ধ গৃহীরা দান, শীল, ভাবনায় রত থাকার সুযোগ পেয়ে থাকেন। নিজেকে আত্মশুদ্ধির অন্যতম সময় মনে করা হয় আষাঢ়ী পূর্ণিমাকে।

বৌদ্ধ ধ‌র্মের প্রবর্তক মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহানির্বাণ এই তিন স্মৃতি বিজরিত আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়। 

মঙ্গলবার ১২ জুলাই সকাল থেকে বান্দরবানের বৌদ্ধ বিহারগুলো সাজানো হয়ে‌ছে বর্ণিল সাজে। আর শত শত ভক্তের পদচারণায় মুখরিত ছিল দিনটি।

সকাল থেকে বান্দরবানের খিয়ং ওয়া কিয়ং রাজবিহার, কেন্দ্রীয় সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, কালাঘাটা আম্রকানন গৌতম বৌদ্ধ বিহার, বালাঘাটা বৌদ্ধ বিহার, উজানী পাড়া মহা বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে চলছে প্রার্থনা, চীবরদান, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং দান (ভা‌ন্তের খাবার দান) প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বৌধিবৃক্ষ মূলে চন্দন জল সিঞ্চন (বট গা‌ছে চন্দ‌নের জল ঢালা), বুদ্ধ মূর্তি স্নানসহ নানান ধর্মীয় আয়োজন।

রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ভদন্ত কেতু মহাথেরো জানান, আজকের এই দিনেই রাজকুমার সিদ্ধার্থের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ, গৃহত্যাগ (মহাভিনিষ্ক্রমণ) বুদ্ধত্বলাভ পরবর্তী সময়ে সারনাথের ঋষি পতন মৃগদাবে পঞ্চবর্গীয় ভিক্ষুদের কাছে তথাগত বুদ্ধের প্রথম ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র দেশনা, শ্রাবস্তীর গম্বন্ড বৃক্ষ মূলে যমক প্রতিহার্য ঋদ্ধি প্রদর্শন, মাতৃদেবীকে ধর্মদেশনার জন্য তুষিত স্বর্গে গমনের মতো অনন্য ঘটনা ঘটেছিল। তাই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ

আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে তিন মাস বর্ষাবাস পালন করবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এসময় সংযম পালনের মধ্য দিয়ে ন্যায়, সৎ পথ চলা, বুদ্ধের জীবনানুসারণ ও পরোপকারে তিন মাস অতিক্রম করবে প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পরিবার।

এসময় বান্দরবানের ১৭তম বোমাং সার্কেল চীফ রাজা ইঞ্জিনিয়ার উ চ প্রু, ম্যাম্যা চিং, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উচিং মং মারমা, সুয়ালক মৌজা হেডম্যান মংথোয়াই চিং মারমাসহ সর্বস্তরের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: