শেরপুরের নকলায় প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্রী নিহত

শেরপুর প্রতিনিধি | ৫ জুলাই ২০২২, ০০:৪০

সংগৃহীত

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় প্রেমিক আরিফুলের (২৮) হাতে ছুরিকাঘাতে সোহাগী আক্তার (২২) কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছেন কলেজ ছাত্রীর বাবা।

৪ জুলাই (সোমবার) ভোর ৫ টায় নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ভোর ৭ টায় ওই ঘটনার সন্ত্রাসী প্রেমিক আরিফুল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। নিহত সোহাগী কায়দা এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘাতক আরিফুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কুতুরপুর ইউনিয়নের পূর্ব সিয়ারচর লালখা গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, প্রায় ২ মাস পূর্বে রমজান মাস থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরিফুল ইসলামের সাথে সোহাগী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জ থেকে আজ সোমবার রাতে নকলার কায়দা এলাকায় সোহাগী আক্তারের বাড়ির রান্না ঘরে রাত্রীযাপন করেন আরিফুল ইসলাম। ভোর রাতে সোহাগী আক্তার এর বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হলে আরিফুল ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাথারীভাবে আঘাত করা শুরু করলে চিৎকার করতে থাকলে, সোহাগী এসে বাধা দেয়। পরে সোহাগীকেও আরিফ এলোপাথারীভাবে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা শহীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক আরিফুলকে আটক করেছে নকলা থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, গত রমজান থেকে সোহাগী ও আরিফুলের মোবাইলে কথা হতো। এর মধ্যে কিছুদিন আগে তাদের সামনা-সামনি দেখা হয়। পরে কোন কারণে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে সোহাগীকে প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আরিফুল এই ঘটনা ঘটায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটক ঘাতকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: