চুয়াডাঙ্গায় জনশুমারি প্রশিক্ষণে খাবার প্রদানে অনিয়ম

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ১৩ জুন ২০২২, ১০:৪৮

সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’র প্রশিক্ষণে খাবার প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌর এলাকার এক নম্বর জোনের জোনাল অফিসার আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ। প্রতিদিন জনপ্রতি ৩০০ টাকা হারে খাবার বরাদ্দ থাকলেও সর্বোচ্চ দেড়শো টাকার খাবার প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা এ অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জোনাল অফিসার আরিফুজ্জামানের অধীনে ১৩০ জন সুপারভাইজার ও গণনাকারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার সরবরাহের জন্য মেন্যুচার্ট সরবরাহ করা হয়। কিন্তু উর্ধতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশনা অমান্য করে জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় বিআরডিবি’র অতিরিক্ত উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান কমমূল্যের খাবার সরবরাহ করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রশিক্ষণে জনপ্রতি সকালের নাস্তায় একটি সমুচা অথবা সিঙ্গারা সাথে একটি কেক অথবা প্যাটিস এবং ফল ও চা দেয়ার কথা বলা রয়েছে। কিন্তু জোনাল অফিসার আরিফুজ্জামান সকালে শুধুমাত্র একটি ছোট কলা ও একটি পাঁচ টাকার কেক দিচ্ছেন। মেন্যুতে প্রথম দিন দুপুরের খাবার হিসেবে সাদা ভাত, মুরগির মাংস, ডাল, সবজি (বেগুন ভাজি/মাছ ভর্তা/শাক) ও পানি দিতে হবে অথবা কাচ্চি বিরিয়ানি ও পানি দিতে হবে। দ্বিতীয় দিন সাদা ভাতের প্যাকেজ অথবা ভুনা খিচুরি, মুরগির মাংস ও পানি দিতে হবে। তৃতীয় দিন সাদা ভাতের প্যাকেজ অথবা চিকেন বিরিয়ানি ও পানি দিতে হবে। চতুর্থ দিন মোরগ পোলাও, কোল্ড ড্রিংস ও পানি দিতে হবে। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থীদের দেয়া হয়েছে প্রথম দিন আধ প্যাকেট মোরগ পোলাও; দ্বিতীয় দিন সাদা ভাত, ছোট পিচের মাংস ও ডাল; তৃতীয় দিন আধ প্যাকেট কাচ্চি বিরিয়ানি ও আরসি পানীয় এবং চতুর্থ দিন আধ প্যাকেট মোরগ পোলাও।

এছাড়া প্রতিদিনের বিকালে নাস্তায় লেক্সাস বিস্কুট, কলা ও চা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও জোনাল অফিসার আরিফুজ্জামান একদিনও বিকালের নাস্তা দেননি।

এ বিষয়ে আরিফুজ্জামান বলেন, আমাকে সব দিক ম্যানেজ করেই এসব করতে হচ্ছে। এতে কিছুটা এদিক ওদিক হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী পুলক কুমার দত্ত বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। এখন জানার পর আমি বিষয়টি খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এ বিষয়ে জেলা শুমারি সমন্বয়কারী ও জেলা পরিসংখ্যানের উপ-পরিচালক মো. রাশিউল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শোকজসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: