প্রেমিককে মারধর করে প্রেমিকাকে ধর্ষণ

মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি  | ৭ জুন ২০২২, ০১:২৭

সংগৃহীত

আয়েশা বেগমের স্বামী শহীদুল ইসলাম চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত থাকায় রাতে তার সাথে ঘুমানোর জন্যে প্রায়ই ডেকে নিতেন পাশের বাড়ির মাদ্রাসা ছাত্রী মিমকে (ছদ্মনাম)। গভীর রাতে মিমের কথিত প্রেমিক হেলাল তার সাথে কথা বলতে যায় আয়েশা বেগমের বাসার ছাদে। একই গ্রামের বখাটে রিয়াজ বিষয়টি আঁচ পেয়ে সুপারি গাছ বেয়ে ওঠেন গার্মেন্টস কর্মী শহীদুল ইসলামের বাড়ির ছাদে। এরপর প্রেমিককে মারধর করে নিজেই জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই ছাত্রীকে।— এমন ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গিলাবাদ গ্রামে।

রবিবার (৫ জুন) রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক শহীদুলের স্ত্রী আয়েশা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘পেশায় আমি দিনমজুর। আমার মেয়ে আলিম ১ম বর্ষের ছাত্রী। সম্প্রতি কাজে ফরিদপুর জেলায় যাই। গার্মেন্টস কর্মী শহীদুল ইসলামের স্ত্রী বাড়িতে একা থাকায় আমি আমার মেয়েকে ঘুমানোর জন্যে পাঠাই তার সাথে। হঠাৎ শুনি এমন দুর্ঘটনার সংবাদ। তাই ছুটে চলে আসি।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী আয়েশা বেগমের কাছে ঘুমোতে গেলে গভীর রাতে উঠে প্রেমিক হেলালের সাথে কথা বলতে ছাদে যায়। বিষয়টি একই গ্রামের আঃ কাদের খার ছেলে রিয়াজ খা টের পেয়ে সুপারি গাছ বেয়ে ওই বাসার ছাদে উঠে এবং প্রেমিককে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর সে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে রবিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি আয়েশা বেগমকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যহত আছে।’

ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য থানা পুলিশ সোমবার পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: