বিশ বছর পর মাথা গোঁজার অবলম্বন পেলো জামিরন বেগম

ফরিদপুর প্রতিনিধি | ১২ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৪৯

সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের লোকনাথ গ্রামের জামিরন বেগমের বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী আফসার শেখ তার খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ করে দেন। একই গ্রামে অবস্থিত ভাইদের বাড়ির বারান্দায় দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন গত বিশ বছর ধরে। থানায় পুলিশ সদস্যদের খাবার রান্না করে প্রাপ্ত সাড়ে তিন হাজার টাকায় কোনোমতে সংসার চলতো। এক প্রতিক্রিয়ায় সোমবার বিকেলে থানা কম্পাউন্ডের মধ্যে রান্না ঘরে কথা হয় জামিরন বেগমের সাথে। 

এসময় প্রতিক্রিয়ায় জামিরন জানান, 'ঘর ছিল না। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ ভাইদের মাধ্যমে এখন থাকার ভালো ব্যবস্থা করেছে। ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি।'

মুজিব শতবর্ষে 'বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না' মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ফরিদপুর জেলার ৯টি থানায় গৃহহীন ও হতদরিদ্র ৯টি পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার লোকনাথ গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা জামিরন বেগম (৪৫) পাচ্ছেন মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাথা গোঁজার ঠাঁই। 

গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তরের লক্ষে বোয়ালমারী থানায় আয়োজিত এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম, এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম, ওসি (তদন্ত) মো. সালাউদ্দীন আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বোয়ালমারি প্রেসক্লাবের সভাপতি রিজাউল হক, বোয়ালমারি বার্তার সম্পাদক এ্যাড. কোরবান আলী, বোয়ালমারি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী হাসান ফিরোজ, ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ইমরান হোসেন নবাব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি থানায় স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক চালু হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি ফরিদপুর জেলায় মোট ৬ হাজার ২৫৩ জন সেবা প্রত্যাশীদের সেবা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে বোয়ালমারী থানায় স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক থেকে ১৫০ জন সেবা প্রত্যাশীদের সেবা প্রদান করা হয়।

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: