মুরাদকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি ছাত্রলীগ নেত্রীদের

সময় ট্রিবিউন | ৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৩০

মুরাদ হাসানের পদত্যাগের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার রাতে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের ছাত্রীরা। ৬ ডিসেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-ছবি: সংগৃহীত

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া ও শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেত্রীরা।

অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ওঠায় গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরে মঙ্গলবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মুরাদ হাসান। পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশকে স্বাগত জানিছেনন ছাত্রলীগ নেত্রীরা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুরাদ হাসানের বক্তব্যসংবলিত একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাঁকে খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে ‘অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করতে শোনা যায়। মুরাদ হাসানের ওই বক্তব্যের সমালোচনায় সোচ্চার হন নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি ওঠে।

ওই ভিডিওতে মুরাদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া হল ও শামসুন নাহার হলের সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এই খবর পাওয়ার পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে হলের সামনে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা এতে নেতৃত্ব দেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জিয়াসমিন শান্তা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলার মশাল যত দিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে, তত দিন এ দেশের নারীরা সুরক্ষিত। অন্যায়কারী যিনিই হোন, তাঁর কোনো ক্ষমা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেই৷ মুরাদ হাসানের বিষয়টি সবাইকে একটি বার্তা দিয়েছে, সবার মুখে ও স্বভাবে লাগাম টেনে চলা উচিত৷’

মুরাদ হাসানকে একজন ‘অযোগ্য লোক’ বলে আখ্যা দেন রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম বলেন, ‘মুরাদ হাসান শুধু রোকেয়া ও শামসুন নাহার হল নিয়েই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতনিকে নিয়েও বাজে কথা বলেছেন। একজন নারী হিসেবে আমি তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। তাঁর পদত্যাগের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভালো সিদ্ধান্ত। এমন অযোগ্য একজন লোককে আওয়ামী লীগেও রাখা উচিত নয়।’

ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলে মুরাদ হাসানের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শ্রাবণী ইসলাম।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: