নোবিপ্রবির ভিসি, প্রো-ভিসিসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ

সময় ট্রিবিউন | ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১১:০৪

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-ফাইল ছবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) ও উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি)’সহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমারকে আইনের তোয়াক্কা না করেই বিভাগের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর অভিযোগে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জসিম উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তনিমা সরকার।

চেয়ারম্যান পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়াটি আইন লঙ্ঘন বলে দাবি করে গত ১৮ নভেম্বর নোটিশ দেন এই আইনজীবী। নোটিশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা লিখিতভাবে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমারকে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিভাগের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এরপর থেকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত ৩ মে পুনরায় ২য় মেয়াদে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি, যা পরবর্তী তিন বছরের জন্য কার্যকর ছিল।

চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে তার প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু গত ১ নভেম্বর ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হিসাবে অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমারকে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠি জারি করেছে। চিঠিতে অন্য কোনো বিষয় প্রকাশ করা হয়নি। ওই তারিখে নোটিশ রিসিভার নং ৩ একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিযুক্ত করা হয়েছে৷ পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়োগ বৈধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ধারা ২৫ (৩) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে সহযোগী অধ্যাপকের অধীনে কোনো বিভাগের চেয়ারম্যান তিনিই হবেন। একজন সহকারী অধ্যাপক আইনের ধারা ২৫ (৩) এর বিধান অনুযায়ী বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন। অতএব, বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ প্রত্যাহার বা বাতিল হতে বাধ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘এখনো আইনি নোটিশ আমার কাছে আসেনি। তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এটা তার ব্যাক্তিগত বিষয়। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে বিবেচনা অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ব্যখ্যা দেবে।’

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘আমি আইনি নোটিশ পেয়েছি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষকের তদন্ত চলছে। এ পরিস্থিতিতে তদন্ত কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এসব শিক্ষকদের তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোনো দায়িত্বে থাকা যাবে না। তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এটা তার ব্যক্তিগত অধিকার। যেসব কারণে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো কারণ নোটিশ অনুযায়ী বিস্তারিত জানিয়ে দেব।’


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: