সময় চাইলেন শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন

সময় ট্রিবিউন | ৫ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৭

ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ছবি- সময় ট্রিবিউন  

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার জবাব দিতে তদন্ত কমিটির কাছে ২ সপ্তাহের সময় চেয়েছেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন।

চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির কাছে শিক্ষক ফারহানা সোমবার লিখিতভাবে এ সময় প্রার্থনা করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তদন্ত কমিটির মিটিং চলছে। এ মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই দিন থেকেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে ওই শিক্ষিকার কাছে জবাব চেয়ে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে ৩ অক্টোবর সকালে রবির প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে হাজির হয়ে এ ঘটনার জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ওই দিন হাজির না হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ২ সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন।

এদিকে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে সময় দেয়া হবে কিনা অথবা কত দিনের সময় দেয়া হবে তা নির্ধারণ করতে তদন্ত কমিটি সোমবার সন্ধ্যার পর রবির প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে এ জরুরি বৈঠকে বসেন।

এর আগে রোববার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্যাতিত ওই ১৪ ছাত্রসহ ৫৭ জন হাজির এ ঘটনায় সাক্ষ্য প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবি করায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কাচি দিয়ে কেটে দেয় রবির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন।

এ ঘটনায় নাজমুল হাসান তুহিন নামের এক ছাত্র ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা টানা ৩ দিন ওই শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন ও অনশনের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে রবির সিন্ডিকেটের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অপরদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে শনিবার দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে তাদের চলমান আন্দোলন শিথিল করে।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আবু জাফর, নাজমুল হোসাইন ও শামীম হোসেন বলেন, এ বিষয়টি আমাদের জানা নেই; খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: