জোর করে হলে ওঠা শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদনের নির্দেশ

ঢাবি প্রতিনিধি | ৩ অক্টোবর ২০২১, ০৫:০৭

ছবিঃ সংগৃহীত

যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কয়েকটি আবাসিক হলের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং হলের বৈদ্যুতিক লাইন ও পানির সংযোগ নিজ দায়িত্বে চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আজ ০২ অক্টোবর ২০২১ শনিবার অনুষ্ঠিত প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক জরুরি সভায় এই নির্দেশ দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

সভায় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত যারা হলে প্রবেশ এবং অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, এই মর্মে আগামী ৭ অক্টোবর এর মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।

পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু অনার্স ৪র্থ বর্ষ এবং মাস্টার্স-এর যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থী অন্ততঃ 'কোভিড-১৯'-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি ও SOP (Standard Operating Procedure) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে একই শর্তে যত দ্রুত সম্ভব অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, গতকাল (১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ও ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ম ভঙ্গ করে হলে প্রবেশ ও অবস্থান করছে। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বের হয়ে যেতেও বললেও বের হয়নি শিক্ষার্থীরা৷ শিক্ষার্থীরা বলছে , আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের পক্ষে বাহিরে থাকা আর সম্ভব নয়। অক্টোবরের পাঁচদিন মেসে থাকলে পুরো মাসের ভাড়া দিতে হবে। একইসঙ্গে অক্টোবরের ৫ তারিখ হল খোলার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও অমানবিক বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: