নানা আয়োজনে পাবিপ্রবিতে জাতির পিতার জম্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

পাবনা প্রতিনিধি | ১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫১

ছবি-সংগৃহীত

নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জম্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল দশটায় প্রশাসনিক ভবন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষ করে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষির্কীর ম্যুরাল জনক জ্যোতির্ময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কে এম সালাহ উদ্দীন, রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিভিন্ন বিভাগ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা পরিচালক, বিভিন্ন হল প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন অফিস, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

সকালে পৌনে ১১টা থেকে কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার চত্বরে পাবনার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির তিন শতাধিক শিশু নিয়ে তিনটি বিভাগে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর একই চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন, শিশুরাই দেশকে সামনে এগিয়ে নেবে। তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্মকে শিশুসহ সবাইকে ধারণ ও লালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শিশুদের মনে অনেক রঙ, তার বিস্তার ঘটাতে হবে। তাদেরকে সুন্দর পৃথিবী দিতে হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জম্মদিনটি যেন পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। তাঁর নীতি আদর্শকে লালন করে ধারণ করে কাজে কর্মে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যুগের সাথে পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন, পাবনা ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস্কোন্দার আলী। অনুষ্ঠানে শিশুরা কবিতা আবৃত্তি করেন। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিশুর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

১৭ মার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ ও ড. মীর হুমায়ন কবির। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিজয় দাশ গুপ্তের নেতৃত্বে একটি কমিটি।

এছাড়া বাদ যোহর কেন্দ্রিয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জনক জোতির্ময় আলোকসজ্জা করা হয়।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: