মেয়াদ শেষ হলো নোবিপ্রবি উপাচার্যের

ক্যাম্পাস ডেস্ক: | ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০৮

সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলমের মেয়াদ হলো সোমবার (১২ জুন)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল,ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল আলম ২০১৯ সালে ১২ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০১৯ সালের ১৬ জুন কর্মস্থলে যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে যুগোপযোগী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।

তবে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর পরই পুরো পৃথিবীব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে নোবিপ্রবিতেও। করোনা মোকাবিলা তিনি বিভিন্ন ধরণের সাহসী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ক্যাম্পাসে করোনা টেস্টের ল্যাব স্থাপন, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, নতুন ৩টি বিভাগ খোলা সহ উল্লেখ্যযোগ্য প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান উপাচার্যের সময়ে নোবিপ্রবিতে তেমন কোন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি তবে শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান ছিলো।

বর্তমান উপাচার্যের ক্ষমতাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার বিভিন্ন পদে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলেও সুনির্দিষ্ট কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে যোগ্য চাকুরি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন এর জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবির সাবেক প্রক্টর ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদার-উল-আলম স্যারের সময়ে শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়েছে। ওনার আমলে যত নিয়োগ দেয়া হয়েছে সবগুলোতে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতা ভিত্তিতেই দেয়া হয়েছে।

অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পাসে যতগুলো কাজ ইনকম্পিলিট ছিলো সব গুলো কাজ স্যার শেষ করেছেন। বিএনসিসি ভবন নির্মান করেছে, শিক্ষকদের ডরমেটরি উদ্বোধন করেছেন,দশতলা ভবনের কাজ শেষ করেছেন, ছাত্রীদের দুটি হল উদ্ভোধন করেছেন। তবে বৃহত্তর যে একাডেমিক ভবনে কাজ বন্ধ রয়েছে সেটি ঠিকাদারের কারণে। কারণ এই ভবনটির ঠিকাদার সরকারের ব্লাক-লিস্টেট একজন দুর্নীতিবাজ। এইজন্য ভবনটি কাজ শুরু করতে কিছু আইনি জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে যার জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: