ডায়নামিক ছাত্রনেতা নাসিম আহমেদ জয়

ইবি প্রতিনিধি | ১২ আগষ্ট ২০২২, ২২:৩০

সংগৃহীত

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সন্তান নাসিম আহমেদ জয়। বাবা তোবারক হোসেন বাদল এর বড় পুত্র। জয় সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

জন্মভূমি থেকে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে রাজনীতির হাতেখড়ি। নিঃস্বার্থভাবে জনসেবা করে মানুষের হৃদয়ে করে নিয়েছে স্থান। শৈলকুপা পাইলট স্কুলে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যান। গাড়াগঞ্জ মিয়া জিন্নাহ আলম কলেজে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করেন।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু আর্দশকে বুকে ধারণ করেই ছাত্রলীগের শ্লোগানে গলা মিলায়। বিপদে আপদে ছোটদের ছায়াতলে রেখে পরামর্শ দেন। এভাবেই সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে রাজপথের সংগ্রামী সৈনিক হয়ে উঠা।

বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। করোনার সময় একঝাঁক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে কৃষকের ধান কেটে, অসহায় মানুষদের এক সপ্তাহের খাবার বিতরণ, বৃদ্ধ চাচার ভ্যান কিনে দিয়ে।

একাধারে কাজ করেছেন খেলাধুলা নিয়ে। গাড়াগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক ছিলেন তিনি। সংস্থার সাংগঠনিক কার্যক্রম হিসেবে বৃক্ষরোপন, ব্যাচভিত্তিক খেলাধুলা বিভিন্নরকম কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

ছোট্ট শিশু হৃদয় এর চিকিৎসার জন্য মানুষেরর দ্বারে দ্বারে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেন। নিজ এলাকার অসহায় বৃদ্ধার চিকিৎসার খরচ বহন করাসহ জয় মানবিক কর্মকাণ্ডের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেন।

পবিত্র রমজান মাসে এতিমখানায় শিশুদের সাথে ইফতার আয়োজন, মাসব্যাপী ইফতার ও সেহরী বিতরণ। ভর্তিযুদ্ধের সময় পরীক্ষার্থীদের মাস্ক, ফুল, পানি ও কলম দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘শত কবিতা’ বিতরণ করেন। জয়ের এসব কাজে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন শাহিন, হাফিজ, বাধন, তরুণ।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যর প্রতি। যারা শতভাগ আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। সবার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে সেবার মাধ্যমে ছাত্রলীগকে এগিয়ে নিতে চাই। মানবিক কার্যক্রমে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগীতা কামনা করছি। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আদর্শিক ও পরিচ্ছন্ন সংগঠন করাই হবে মূল লক্ষ্য। মেধা ও কর্মশক্তির শতভাগ দিয়ে সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: