চুয়েটে ‘Co-designing Post Pandemic Cities with Children’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

তাসনিয়া মাসিয়াত, চুয়েট | ৬ আগষ্ট ২০২২, ১১:১৪

সংগৃহীত

৪ আগস্ট, (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২:৪৫ টায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) -এর স্থাপত্য বিভাগের " হেরিটেজ রিসার্চ ল্যাব " এর আয়োজনে " শিশুদের সাথে মহামারী পরবর্তী শহরগুলির কো-ডিজাইনিং" শীর্ষক এক প্রাণবন্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে

সেমিনারের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ জিওগ্রাফি অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের আরবান ডিজাইনের সহকারী অধ্যাপক ডঃ মাতলুবা খান।

এছাড়াও এ সেমিনারে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ছিলেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মৈনাক ঘোষ।

স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কানু কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে সেমিনারটি আয়োজন, সমন্বয় এবং পরিচালনা করেন হেরিটেজ রিসার্চ ল্যাব এর কো-অর্ডিনেটর স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শায়লা শারমীন। উক্ত সেমিনারে চুয়েট এর স্থাপত্য ও অন্যান্য বিভাগের বিপুল ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল।

সেমিনারে স্থপতি ডঃ মাতলুবা খান মহামারী পরবর্তী সময়ে মহামারীর কারণে সৃষ্ট শিশুদের দৈহিক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যার কথা ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকগণের মাঝে তুলে ধরেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরনের উপায় হিসেবে বর্তমান শহর পরিকল্পনায় এবং বাসস্থান ডিজাইনে চাইল্ড ইনক্লুসিভ প্লানিং স্ট্রেটেজির উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। শহরগুলোকে শিশু-বান্ধব হিসেবে যদি ডিজাইন করা যায় তবে সে শহর যে সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ এবং বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে উঠবে এ তথ্য তাঁর আলোচনায় উঠে আসে। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে অতিবাহিত তাঁর বর্ণিল কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি সুস্থ-সুন্দর আগামীর জন্য শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ, শিশুর মনস্তত্ত্বের উপর পরিবেশ ও পরিসরের প্রভাব, এবং শিশুর দৈহিক সুস্থতা এবং মানসিক উন্নয়নের জন্য স্থাপত্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তার এই অত্যন্ত সময়োপযোগী গবেষণা উপস্থাপনের শেষে স্থাপত্য বিভাগের পক্ষ থেকে হেরিটেজ রিসার্চ ল্যাব; স্থপতি ডঃ মাতলুবা খান কে সম্মাননা প্রদান করে।

স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শ্রী কানু কুমার দাশ বলেন, করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে শিশুদের আচরণ এর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ডাকঘর এর কেন্দ্রীয় চরিত্র অমল এর অবসন্নতা ও মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত করুণ ভাবে বর্ননা করেন এবং তার সাথে বর্তমান সময়ের শিশুদের মনস্তত্ত্ব এর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, শহরের বদ্ধতা, ক্লান্তি ও অসহায়তার মধ্যে, শিশুদের মন

কেমন উজ্জ্বল চঞ্চলতায় দেশবিদেশ পরিক্রমায় ছুটে যেতে চায়। তিনি শিশুদের মানসিক প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কিত মনস্তত্ত্ব ও নানাবিধ কর্মকাণ্ড ও বাস্তবিক জ্ঞানের মাধ্যমে শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও তাদের অনুপ্রাণিত করার ব্যপারে দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য প্রদান করেন। ভবিষ্যতে শিশুদের জন্য স্থপতি হিসেবে দেশ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করার মাধ্যমে বিভাগীয় প্রধান শ্রী কানু কুমার দাশ সেমিনার এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: