রাবি শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা চালু

আসিফ আজাদ সিয়াম, রাবি | ২৯ জুন ২০২২, ০১:৫১

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সব নিয়মিত শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য বীমা ও জীবন বীমা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। বছরে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় বার্ষিক মাত্র ২৫০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা তালিকাভুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

এছাড়াও জীবন বীমার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে তার অভিভাবক দুই লাখ টাকা পাবেন। আগামী জুলাই মাস থেকে এই বীমা সেবার আওতায় আসবে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাবির শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেনিথ ইন্স্যুরেন্সের ডেপুটি ভাইস-প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন সরকার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা প্লে স্টোর থেকে ‘Zenith Islami Life Insurance Ltd’ আ্যাপ ডাউনলোড করে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইডে গিয়ে সম্পুর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রিমিয়াম পরিশোধ করে বিনিময়ে জীবন বীমার আওতায় থাকা কোনো শিক্ষার্থী মারা গেলে তার পরিবার এককালীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পাবেন। আর স্বাস্থ্যবীমার আওতায় কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বীমা সুবিধা পাবেন। আবার বীমার আওতায় থাকা অসুস্থ হওয়া কোনো শিক্ষার্থী যদি হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চিকিৎসা নেয় সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বীমা সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে এক দিনের চিকিৎসা ব্যয় ২০ হাজার হলেও ক্লেইম করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, হাসপাতালের বিলের কাগজপত্র অথবা ভাউচার জমা দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জন্মগত কোনো ব্যধি ও দীর্ঘ চলমান অসুখের ক্ষেত্রে বীমা সেবা পাবে না শিক্ষার্থীরা। বীমার আওতায় প্রায় শতাধিক হাসপাতালে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আরো অধিক হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘৫০৭তম সিন্ডিকেট সভায় স্বাস্থ্য ও জীবন বীমার আওতায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সেই উদ্দেশ্যে কোষাধ্যক্ষকে প্রধান করে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা সহ পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ষ প্রক্রিয়ার পরে সব কিছু যাচাই বাছাই করে ৫১০তম সিন্ডেকেট সভায় এর অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টেন্ডার হয়। ১১টি কোম্পানি সেখানে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে। তার মধ্য থেকে সব কিছুর মেরিড-ডিমেরিড বিশ্লেষণ করে জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড কোম্পানির কাছে দেয়া হয়। আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা কিভাবে লাভবান হবে’।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: