ভালোবাসায় শিক্ত হলেন মোল্লা আবু কাওসার

মোহাম্মদ হীরা সরকার, ঢাবি প্রতিনিধি | ২৩ জুন ২০২২, ১০:১৩

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে এডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাউছারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে হল অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা আয়োজনের মাধ্যমে এডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওসারকে সংবর্ধিত করা হয়।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুর রহিম।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা বলেন, " কাওসার ভাই হলেন জহুরুল হক হলের অকৃত্রিম বন্ধু। তাঁর প্রতিটি সাফল্যে আমাদের গর্ব হয়। বরাবরই কাওসার ভাই জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছেন এবং যেকোনো মুহূর্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কর্মব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও সবসময় তিনি আমাদের হলের কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর রাখেন। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ"।

উক্ত অনুষ্ঠানের সঞ্চালক, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন তাঁর বক্তব্যে এডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওসারের উদারতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর নানা কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আব্দুর রহিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ হিশেবে আমি গর্বিত কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক হল রয়েছে তবে ইতিহাসের সূতিকাগার হলো জহুরুল হক হল। এই হলেই বাংলাদেশের পতাকা তৈরী হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে থাকা কালীন সময়েও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন হলের সব ধরনের শিক্ষার্থী বান্ধব কাজে সবসময়ই তিনি কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।' হলকে আরো কিভাবে সুন্দর করা যায় এবং হলের সুযোগ সুবিধা কিভাবে আরো বৃদ্ধি করা যায় সেই বিষয় নিয়েও আলোকপাত করেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি জহুরুল হক হল ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষার্থী বান্ধব কাজের জন্য উক্ত সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানান। হলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করণে যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে তা তিনি গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওসার তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'আমি আমার জীবনের একটি অংশ হিসেবে জহুরুল হক হলকে মনে করি। প্রায় ৪৩ বছর ধরে আমার এই হলে নিয়মিত যাতায়াত করি। এই হলের শিক্ষার্থীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা আমার কাছে অনেক আনন্দের। এই হল আমার প্রাণের জায়গা। জহুরুল হক হল আমার সাহসের নাম। আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ কিন্তু আমার পরিচয় হলো আমি জহুরুল হক হলের কাওসার মোল্লা।'

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রুল মডেল। সবদিক থেকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুই দিন পরে বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বের বুকে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন যাতে করে তাঁর নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় দেশ একটি উন্নত দেশে রুপান্তরিত হতে পারে। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ইতিহাস হলো বাংলাদেশের ইতিহাস। কেননা সকল স্বাধিকার আন্দোলন এই হল থেকে সূচনা হয়েছিল। জহুরুল হক হল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাজনীতি সবকিছুর দিক দিয়ে সেরা৷ কিছুদিন আগে জহুরুল হক হলের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পলাশের মৃত্যু হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন - আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো পলাশের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর।'
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজক, হল প্রাধ্যক্ষক, উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: