জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের দূর্নীতির বিচার ও শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখী অবস্থান নেয় ফারজানাপন্থী শিক্ষক নেতারা।
বুধবার (২ মার্চ) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্ত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে এগিয়ে আসে। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসলে শিক্ষার্থীদের পথ আগলে দাড়ান ফারজানাপন্থী শিক্ষক নেতারা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মুখোমুখী অবস্থান নেন শিক্ষক নেতারা। মুখোমুখী অবস্থানে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন উভয় পক্ষ।
জাবি সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল হক রনি বলেন, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম একটি লজ্জার নাম। তিনি দুই কোটি টাকার দুর্নীতি ও শিক্ষার্থী মারধরের দায়ে অভিযুক্ত। এরপরেও তার বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি হয়নি। উপরন্তু সুবিধাভোগী চাটুকারি শিক্ষকদের সহযোগিতায় রানীর হালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন তিনি। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য লজ্জার বিষয়। তাই তার মেয়াদ শেষ হওয়া উদযাপনের উপলক্ষ নয় বরং লজ্জার।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, 'শিক্ষার্থীদের রাগ ক্ষোভ আছে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিপীড়ন হয়েছে বলে দাবি করছে তারা। এজন্য তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসেছে। অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিন্তু উনি এখন আর উপাচার্য নাই। তবে উনি আমাদের সহকর্মী। সেই জায়গা থেকে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে বোঝাতে চেয়েছি।'
এসময় বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খালিদ কুদ্দুস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ.স.ম. ফিরোজ উল হাসান, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হেল কাফি, অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম, অধ্যাপক মাহবুবুল কবির হিমেল, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ মার্চ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম জাহাঙ্গীরনগরের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফারজানা ইসলামকে, যা শেষ হয় আজ। এদিকে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে একাধিক অভিযোগ উত্থাপিত হয়। যা শেষ পর্যন্ত হামলা মামলায় গড়ায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: