শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের বিষয়ে যা বলল শিক্ষক সমিতি

সময় ট্রিবিউন | ২৪ জানুয়ারী ২০২২, ১১:১৭

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২৩ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন পালন করছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে এখন হাসপাতালে। বাকি শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।-ছবি সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান সংকট নিয়ে করা শিক্ষক সমিতির সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত সভার পর রাত সাড়ে আটটায় সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।

সভায় বলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এতে সরাসরি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কিছু বলা না হলেও, উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি ‘সরকারের এখতিয়ারভুক্ত’ উল্লেখ করে ‘অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ’ করেছে সমিতি।

শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন করা হয়। অবিলম্বে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২। অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে যা দরকার, তা অনতিবিলম্বে করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

৩। উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ ক্ষেত্রে অতিদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

৪। শিক্ষার্থীদের প্রতি কোনো রকম সহিংসতায় সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

শা‌বিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাঁদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: