শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

সময় ট্রিবিউন | ১৭ জানুয়ারী ২০২২, ০৯:৪৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যৌথ নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

রোববার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ও ভবন প্রদিক্ষণ করে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শাবিপ্রবিতে 'ন্যাক্কারজনক' হামলার প্রতিবাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সকল নায্য দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানান তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, 'বিচারহীনতার নজির আজকের এই হামলা। যেখানে ছাত্রীরা হলের নিরাপত্তা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শিক্ষকের স্বৈরাচারী আচরণের মুখোমুখি হন। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিলে আমাদের প্রতিরোধ আরও জোরদার হবে।'

এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, 'নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা যারা নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশাসনের কাছে গিয়েছিল তাদেরকে মারার জন্য সোয়াট বাহিনী নিয়ে আসা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আগেও বিভিন্ন আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা হয়েছে।'

এসময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, 'আগে শিক্ষকরা বলতো শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করার আগে তাদের গায়ে গুলি করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ভিসিরা তাদের দুর্নীতি, অনিয়ম ঢাকার জন্য প্রশাসনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এই হামলার তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে। এটা শুধু শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নয়, দেশের সকল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা।'

এছাড়াও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রগতিশীল সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: